November 21, 2024, 7:22 pm
দৈনিক কুষ্টিয়া অনলাইন/
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫৩৭ কোটি টাকার মেগাপ্রকল্পের কাজের ৬ কোটি টাকার বিল উত্তোলনকে কেন্দ্র করে যে অভিযোগের অবতারনা হয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) কর্মকর্তারা মনে করেন ঘটনার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত যেভাবে ঘটেছে তাতে দায় কেউ এড়িয়ে পারে না। কাউকেই পালিয়ে যাওয়ার কোন সুযোগ নেই। তবে বিষয়টি তদন্ত করেই তারপর বোঝা যাবে কতজন জড়িত ছিল ঘটনার সাথে বণে মনে কর্মকর্তারা।
বিশ^বিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকতারা বলছেন এখানে কোন দূর্নীতি সংঘটিত হয়নি। যারা চাড়ান্তভাবে অর্থ অনুমোদন করেছেন তারা বুঝেশুনেআ তা করেছেন।
ঘটনায় জানা যায়, গত বছর নভেম্বর মাসে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনসহ বিভিন্ন দফতরে এরকম অভিযোগ তুলে এ সংক্রান্ত একটি বেনামি চিঠি আসে। বেনামি চিঠিতে আর্থিক সুবিধাভোগী ও সহযোগিতাকারী হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকল্প পরিচালক, সাবেক প্রধান প্রকৌশলী, নির্বাহী প্রকৌশলী, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী, বিশ^বিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাবেক ও বর্তমানে পদে রয়েছেন এমন ৬ জন নেতাকর্মীর নাম ছিল।
একই অভিযোগ দায়ের করা হয় দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে। সেই পরিপ্রেক্ষিতে সম্প্রতি বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে দুদক।
এদিকে বিষয়টি নিয়ে গঠিত বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনও তদন্ত কমিটি গঠন করে। এ কমিটি অভিযোগের কি সত্যতা পেয়েছে তা পরিস্কার জানা না গেলেও ঘটনা বেআইনী ঘটেছে বলে জানা গেছে।
তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, কমিটি সুপারিশসহ তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। তিনি বলেন প্রতিবেদন সিন্ডিকেটে যাবে। তারপর যা ব্যবস্থা নেওয়ার, ওখান থেকেই নেওয়া হবে।’
সম্প্রতি দুদকের কুষ্টিয়া কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক ও অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা সাইদুর রহমান একটি পত্র দেন বিশ^বিদ্যালয় কতৃপক্ষকে। তারা বিষয়টি তদন্ত করবে জানায় এবং — স্বাক্ষরিত এক চিঠি সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
দুদকের চিঠিতে অভিযোগের সংক্ষিপ্ত বিবরণ হিসেবে বলা হয়, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন তৃতীয় পর্যায় শীর্ষক প্রকল্পের দ্বিতীয় প্রশাসন ভবনের সর্বশেষ চলতি বিলে দুটি আইটেমে ভুয়া বিল প্রদান করে ৬ কোটি ২৫ লাখ ২০ হাজার ৭৬ টাকা উত্তোলন ও ভাগ বাটোয়ারা করে আত্মসাৎ ও অনিয়মের অভিযোগ।
অনুসন্ধানের স্বার্থে তদন্তকারী কর্মকর্তা বিশ্ববিদ্যালয়ের তদন্ত প্রতিবেদনসহ সংশ্লিষ্ট কাজের প্রয়োজনীয় রেকর্ডপত্রের সত্যায়িত মূলকপি আহ্বান করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের কাছে।
এ বিষয়ে রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) এইচ এম আলী হাসান জানান, দুদকের চাহিত তথ্য পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘যেসব তথ্য চেয়েছে সেগুলো পাঠিয়ে দিয়েছি। তবে তদন্ত প্রতিবেদন এখনও খোলা হয়নি। সিন্ডিকেট সভা ছাড়া সেটি খোলা যাবে না। তাই তদন্ত প্রতিবেদন পাঠানো হয়নি।’
দুদকের অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা সাইদুর রহমান বলেন, হেড অফিসে একটা অভিযোগ জমা পড়েছিল। সেই পরিপ্রেক্ষিতে হেড অফিস তদন্ত পরিচালনার নির্দেশ দিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে কিছু তথ্য চাওয়া হয়েছিল তারা সেগুলো পাঠিয়েছে। তবে এখনও খুলে দেখতে পারিনি।’
এব প্রশ্নে জবাবে তিনি বলেন, যেভাবে ঘটনাটি ঘটেছে, সেখানে যদি অনিয়ম হয়ে থাকে তাহলে তার দায় কেউই এড়াতে পারেন না। কারন ফাইলটি প্রশসানের সবোর্চ্চ কতৃপক্ষের দুজন অনুমোদন করেছেন।
তিনি বলেন ফাইল উপস্থাপন হলেই সেটা যাচাই-বাছাই না করে অনুমোদন দেয়া যায় কি করে ? তিনি বলেন কোন আগাম মন্তব্য নয়। তদন্ত হোক তারপর দেখা যাবে।
Leave a Reply